বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন
আবুল কাশেম- সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
শরৎকাল চলমান। বৃষ্টি হচ্ছে মাঝে মধ্যে। শীত আসতে এখনো অনেক বাকি। এসময়টা মুলত এ অঞ্চলের শীতকালীন সবজি চাষের উপযুক্ত সময় নয়। তাতে কি হইছে।আগাম আমন রোপনের কারণে বীজতলা শূন্য হওয়ায় এবার আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে ওঠেছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সবজি নির্ভর এলাকাগুলির কৃষকগণ। আগাম সবজি চাষ করার কারণ একটাই।
এ বছর মে ও জুন মাসে উপজেলায় উপুর্যুপরি বন্যায় গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালীন সবজির যে ক্ষতি হয়েছে মুলত সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং অধিক লাভের আশায় আগাম শীতকালীন সবজি চাষে এ উপজেলার কৃষকদের এ ব্যস্ততা। প্রতিদিন বিকেল বেলায় অনেকে চারা রোপন করছেন, অনেকে চারার গোড়ায় পানি দিচ্ছেন, আবার অনেকে চারায় কীটনাশক স্পে করছেন।
এভাবে প্রতিদিন সবজির জমিতে পরিচর্যায় আছেন কৃষকরা। তাদের ধারণা যত দ্রুত শীতকালীন সবজি বাজারে তুলতে পারবে ততই বেশী লাভ। কিন্তু শংকায় আছেন উপজেলার সকল কৃষকেরা।
বীজ, সার কীটনাশক, ডিজেল ও শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় এবার শীতকালীন সবজি চাষে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। তারপরও বাড়তি খরচের চিন্তা মাথায় রেখে চলছে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ। শিম, মুলা, গাজর, লাউ টমেটো, লালশাক বেগুন বাঁধাকফি, ফুলকফি, মিষ্টি কুমড়া, শসাসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির চারা রোপনে কৃষকদের অবসরের সময় নেই বললেই চলে।
এ বিষয়ে সরেজমিন উপজেলার সবজি চাষি মতিন মিয়া বলেন- বীজ সার কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার সবজি আবাদে খরচ বেড়ে দিগুণ হতে পারে। বিশেষ করে সারের দাম বস্তা প্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি হওয়ায় সবজি আবাদ নিয়ে বিপাকে আছি।
ফয়েজ বক্স বলেন- গ্রীষ্মকালের প্রথম দিকে আমি প্রায় ৩০ শতক জমিতে শসা চাষ করেছিলাম কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বিক্রির সময় যখন এলো সে সময় সর্বনাশা বন্যায় সব নষ্ট করে দিয়েছে। তাই এবার সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মূলত আমার আগাম শীতকালীন টমেটো চারা রোপন করা। আশাকরি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও আল্লাহ সহায় হলে সে ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে বেশী লাভ করতে সক্ষম হবো।
লাউ চাষি মকবুল বলেন- ৮০ শতক জমিতে এবার উন্নতমানের লাউয়ের চারা রোপন করেছি। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, সার প্রয়োগ ও সার্বক্ষণিক পরিচর্যায় আছি। আশাবাদী এক মাসের মধ্যে লাউ বিক্রি করতে পারবো। তবে শংকায় আছি বাজার দাম নিয়ে।
একই উপজেলার মুফতির বাজার এলাকার কৃষক মফিজ আলী জানান,আগাম সবজি চাষ করেছি দুটো টাকা বেশি পাওয়ার আশায়। কিন্তু শংকায় আছি। সার বীজ ও অন্যান্য জিনিসের যে দাম তাতে খরচ পুষিয়ে নিয়ে কি পরিমাণ লাভ করতে পারবো।